অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা ও নাবলুসে পৃথক ঘটনায় দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সৈন্যরা। শুক্রবার ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে ওই দুই ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে বলে ফিলিস্তিনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাতে আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তারা বলেছেন, শুক্রবার পশ্চিম তীরে পাথর নিক্ষেপকারীদের সাথে সংঘর্ষের সময় ইসরাইলি সৈন্যরা গুলি করে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যা করেছে।
রামাল্লার পার্শ্ববর্তী উম সাফা গ্রামে শুক্রবার স্থানীয় বাসিন্দারা ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামলে তাদের ওপর গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে ইসরাইলি সেনারা।
ইসরাইলের সীমান্ত পুলিশ বলেছে, রামাল্লাহ শহরের কাছের উম্মে সাফা গ্রামের কাছে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় মুখোশ পরিহিত সন্দেহভাজন ফিলিস্তিনিদের পাথর ও ঢিল নিক্ষেপের ফলে সৈন্যদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে।
পরে সীমান্তরক্ষী পুলিশের এক সদস্য হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, উম্মে সাফা গ্রামের ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর মারা গেছে।
ফিলিস্তিনের মেডিকেল কর্মকর্তারা বলেছেন, পৃথক এক ঘটনায় নাবলুস শহরের কাছে গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় ইসরাইলি সৈন্যরা ফিলিস্তিনি এক ব্যক্তিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় অপর এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং তাকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরাইলি সৈন্যরা।
এদিকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানায়, শুক্রবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস গভর্নরেটে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে আরেক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়। এ সময় অন্য একজন গুরুতর আহত হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী পৃথক এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে বলে জানিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা যেসব অঞ্চলকে নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেসব অঞ্চলের মাঝে পশ্চিম তীর অন্যতম। এই অঞ্চলটিতে গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে সহিংসতা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে ২০২ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র অধিকৃত পশ্চিম তীরেই মারা গেছেন ১৬৫ জন। নিহতদের মধ্যে ৩১জনের বয়স ১৮ বছরের কম।