অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৫ হাজার বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইল। সোমবার বসতি নির্মাণ তত্ত্বাবধাণকারী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা কমিটি এ অনুমোদন দেয়। তবে এসব বাড়ির নির্মাণকাজ কবে থেকে শুরু হতে পারে তা নিশ্চিত করে বলা হয়নি। এ বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকেও কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ইসরাইলের এই পদক্ষেপকে একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধের অংশ’ হিসাবে অভিহিত করেছেন।
অধিকৃত অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলের বসতি স্থাপন নীতির ক্রমবর্ধমাণ সমালোচনার মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনে ইসরাইলের বসতি স্থাপনকে অবৈধ ও শান্তি প্রতিবন্ধক হিসাবেও বিবেচনা করে থাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো।
এবিষয়ে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইসরাইলকে অবিলম্বে অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ‘সব ধরনের বসতি স্থাপন কার্যক্রম বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিবের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, মহাসচিব পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে, এ ধরনের বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি বলেন, এই অবৈধ বসতি সম্প্রসারণ উত্তেজনা ও সহিংসতা আরও বাড়াচ্ছে এবং মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে।
পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ওয়াসেল আবু ইউসুফ বলেন, ‘নেতানিয়াহু সরকার ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে তার আগ্রাসন ও প্রকাশ্য যুদ্ধের দিকে আগাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করছি গোটা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সব বসতি স্থাপনকারী উপনিবেশবাদ অবৈধ ও বেআইনি।’
পশ্চিম জেরুজালেম থেকে আলজাজিরা প্রতিনিধি ইমরান খান জানান, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিবেচনা আর প্রকৃতপক্ষে কারা বসতি স্থাপন করতে যাচ্ছে এই বিষয়গুলোর মতো বসতি সম্প্রসারণ অনুমোদনের ছয়টি পর্যায় রয়েছে। আর প্রতিটি পর্যায়ে উদ্বেগ প্রকাশ আর প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করার ক্ষমতা রয়েছে সংসদ সদস্যদের (নেসেট)। কিন্তু গত সপ্তাহে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে সেই প্রক্রিয়াটি আরও সুগম হয়।
অবৈধ বসতি নির্মাণের সমর্থক অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের কাছে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন তিনি। ছয় স্তরবিশিষ্ট বাইপাস করার অনুমতি দেওয়া হয়, যা আন্তর্জাতিক আইনের অবৈধ বলে বিবেচিত।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে বর্তমানে ইসরাইলের জনসংখ্যা ৭ লাখেরও বেশি।