বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বৃহস্পতিবার ইউএনবিকে বলেন, ‘বর্তমান দাম আপাতত অপরিবর্তিত থাকবে।’
বৃহস্পতিবার কমিশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বিইআরসি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বলেন, ‘বিপিডিবির প্রস্তাব গৃহীত হয়নি।’
তিনি অবশ্য বলেন, যদি কোনো পক্ষ ক্ষোভ বোধ করে, তাহলে তারা ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করতে পারে।
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু বেসরকারি কোম্পানি যারা বিপিডিবি থেকে বিদ্যুৎ কেনে তারা তাদের লেনদেনের তথ্য জমা দেয়নি।
ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এক্ষেত্রে তথ্যের অস্পষ্টতা আছে। এই কারণেই আমরা ভোক্তাদের ওপর পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির প্রভাব বিশ্লেষণ করিনি।’
তিনি বলেন, বিইআরসি সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় বর্তমান আর্থ-সামাজিক ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নেয়া হয়।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিইআরসি’র শেষ সিদ্ধান্তটি প্রাধান্য পাবে। কোনো দাম পরিবর্তন করা হবে না। আগের দাম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বিপিডিবি সরকারের কাছ থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি পেয়েছে। সুতরাং, বিপিডিবি’র খরচ সামঞ্জস্য করতে কোনো সমস্যা হবে না।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর সর্বশেষ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয় ১৮ মে।