প্রায় ১ হাজার লোক মারা যাওয়ার পর এবং ৩০ মিলিয়নেরও বেশি লোক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সরকার এই ধ্বংসাত্মক বন্যাকে ‘জাতীয় জরুরী অবস্থা’ ঘোষণা করেছে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটি (এনডিএমএ) অনুসারে, জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে কমপক্ষে ৯৩৭ জন লোক মারা গেছে, যার মধ্যে ৩৪৩ জন শিশু।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ যুক্তরাজ্যে তাঁর সরকারী সফরও ইতিমধ্যে স্থগিত করেছেন। কয়েক দশকের মধ্যে হওয়া অন্যতম ভয়াবহ এই বন্যার ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলার জন্য তিনি মিত্র দেশ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে তহবিলের আবেদন জানিয়েছেন।
বন্যার ভয়াবহতা প্রসঙ্গে শরীফ এক টুইটে বলেন, ‘চলমান বৃষ্টির পরিমাণ দেশজুড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। যদিও ক্ষয়ক্ষতি এখনো পরিপূর্ণভাবে জানা যায়নি। কিন্তু এর ভয়াবহতা ২০১০ সালের বন্যার সাথে তুলনীয়’।
চারটি প্রদেশের ১০০টিরও বেশি জেলা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। তবে সেখানে প্রায় ২০০ জন লোক মারা গেছেন।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেলুচিস্তান এবং সিন্ধু প্রদেশ। এ বছর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে ২৯৮ মিমি এবং সিন্ধু প্রদেশে ৬৮৯ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা গত ৩০ বছরের গড় বৃষ্টিপাত থেকে প্রায় ৪০০% বেশি।
অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের ফলে বেলুচিস্তানের বেশিরভাগ অংশই পানির নিচে ডুবে গেছে। প্রদেশটির অনেক হাইওয়ে এবং সেতু বন্যায় ডুবে যাওয়ায় এর রাজধানী কোয়েটা দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এমনকি হতাহতের অর্ধেকেরও বেশি লোক বেলুচিস্তান এবং দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশের। বেলুচিস্তানে ২৩৪ জন এবং দক্ষিণ সিন্ধু প্রদেশে ৩০৬ জন লোক মারা গেছে।