পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধের সময় আটকেপড়া সেনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিুকল ইসলাম (অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল) কেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন না এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
গত ১৪ মার্চ বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো: বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মশিউর রহমান সবুজ একটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। রিটের পক্ষে তিনি শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি আ্যটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
ব্যারিস্টার মো. মশিউর রহমান সবুজ জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের কারাগারে প্রায় আড়াইশ সেনা সদস্য যুদ্ধবন্ধী ছিলেন। তারা দেশে আসার পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দাবি করেন। পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক (ডিজি), মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সহকারি পরিচালককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রুলে আবেদনকারিকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে কেন অফিসিয়াল প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতাযুদ্ধ পরবর্তী পাকিস্তান হতে প্রত্যাবর্তনকারী অবসরপ্রাপ্ত সশশ্র বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য মোহাম্মদ রফিুকল ইসলাম (অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল) হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ঢাকার বাগানবাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানের কারাগারে যুদ্ধবন্দী হিসেবে ছিলেন।
চলমান আইনে পাকিস্তানের কারাগারে থাকা যুদ্ধবন্দীরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন।