উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের একটি সামরিক স্থাপনায় বোমা বিস্ফোরণে ৭ শিশুসহ কমপক্ষে ১২ জন বেসামরিক নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার বান্নু শহরে একটি সামরিক স্থাপনায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও উদ্ধারকারী সংস্থা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ইফতারের পর দুটি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই আত্মঘাতী হামলাকারী সামরিক স্থাপনার দেয়ালে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর পাঁচ থেকে ছয়জন অস্ত্রধারী ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে।
তবে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন এবং ৩০ জন আহত হন।
ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে দুই আত্মঘাতী হামলাকারীসহ পাঁচজন সন্ত্রাসী রয়েছেন। এছাড়া, হামলায় সাত শিশুসহ তিন নারী এবং দুই বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান।
আহতদের মধ্যে দুই নারীসহ ছয়জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন, যাদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এক সামরিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, হামলাকারীরা বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি সামরিক স্থাপনার দেয়ালে ধাক্কা দেয়। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্রুত প্রতিক্রিয়ায় হামলার পরিকল্পনা পুরোপুরি সফল হয়নি। উভয় পক্ষের গোলাগুলিতে ছয়জন জঙ্গি নিহত হন।
জইশ আল ফুরসান নামক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হাফিজ গুল বাহাদার এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘পরিকল্পিতভাবে বিস্ফোরকভর্তি দুটি গাড়ির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।’
হামলার পর পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।