কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ৯টায় আটটি লোহার দানবাক্স খোলা হয়।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩ মাস আগে যখন দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল তখন ১৫ বস্তা টাকা মিলেছিল।
ঐতিহাসিক এ মসজিদটির দানবক্সগুলো প্রতি তিন মাস পর পর খোলা হয়। এবার ৩ মাস ৬ দিন পর আজ দানবাক্সগুলো থেকে রেকর্ড ২০ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এ মসজিদটিতে আটটি লোহার দানবাক্স রয়েছে।
টাকা গণনার কার্জের সময় উপস্থিত রয়েছেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার অহনা জিন্নাত, শেখ জাবের আহমেদ, সুলতানা রাজিয়া, সহকারী কমিশনার মোছা. নাবিলা ফেরদৌস, মো. মাহমুদুল হাসান, রওশন কবীর, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
২০২২ সালের ১ অক্টোবর সর্বশেষ এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়। এবার ৩ মাস ৬ দিন পর দান ৮টি দানবাক্স খোলা হয়েছে।
এসব দানবক্স থেকে টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার ছাড়াও বিভিন্ন সময় চিঠিও মিলেছে।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছে। দান দানবাক্সগুলো খুলে ২০ বস্তায় টাকাগুলো আনা হয়েছে গণনার জন্য।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনো চলছে টাকা গণনার কাজ।
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে পাগলা মসজিদ অন্যতম। শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে মাত্র ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে উঠেছিল মসজিদটি। এ মসজিদের পরিধির সঙ্গে বেড়েছে এর খ্যাতি ও ঐতিহাসিক মূল্য।
এ মসজিদকে কেন্দ্র করেই একটি অত্যাধুনিক ধর্মীয় কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রসারিত হয়েছে মূল মসজিদ ভবনও।
মসজিদ কমিটির সূত্রে জানা যায়, এ মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়।
করোনাকালীন সংকটে রোগীদের সেবায়ও এখান থেকে অনুদান দেওয়া হয়েছিল।