কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮ টি সিন্দুক খুলে পাওয়া ২৩ বস্তা টাকা গণনা শেষ হয়েছে। এবারও গণনা শেষে টাকার অঙ্কের পরিমাণ পূর্বের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টায় অর্থাৎ ১৩ ঘণ্টা গণনা শেষে মোট টাকা মিলেছে ৫ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা।
জেলা প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে আটটি সিন্দুক খোলা হয়। দুপুর ১২টার মধ্যে গণনা শেষ করে রূপালী ব্যাংকের ভল্টে পাঠানো হয় তিন কোটি টাকা।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথমে বড় বড় ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট গণনা করা হয়েছে। এর পর অপেক্ষাকৃত ছোট নোট গণনা করা হয়।
সাধারণত তিন থেকে পাঁচ মাস পরপর এ সিন্দুক খোলা হয়। এবার এটি সাড়ে তিন মাস পর খোলা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক কাজী মহুয়া মমতাজ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শওকত উদ্দিন ভূঁইয়া, মসজিদ কমিটির সদস্য আনোয়ার কামালসহ অন্য সদস্যরা।
এর আগে গত ৬ মে ৫ মাস পর আটটি দান সিন্দুকে ১৯ বস্তা টাকা দিনভর গুনে পাওয়া গিয়েছিল ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা। এ ছাড়া পাওয়া গিয়েছিল বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা। ওই সময় রোজার মাস ও ঈদের জন্য দেরি করে পাঁচ মাস পর দান সিন্দুক খোলা হয়েছিল।