শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, পাঠ্যবইয়ে ভুল থাকলে তা সংশোধন করা হবে।
তিনি বরেন, এ বছরের পাঠ্যপুস্তকগুলো পরীক্ষামূলক এবং ৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর পরেও ত্রুটি থাকতে পারে এবং সেগুলো সংশোধন করা হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নবম ও ১০ম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ত্রুটি’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রকাশিত ৯ম-১০ম শ্রেণির পাঠ্যবই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন।
তবে এই পাঠ্যপুস্তকগুলো নতুন নয়, এটি ২০১৩ সাল থেকে রয়েছে। তবে অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি হতে পারে এবং সংশোধন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যদি কেউ এই বইগুলোতে ত্রুটি খুঁজে পান, আমাদের জানান এবং আমরা তা সংশোধন করব।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া ভালো শিক্ষার্থী পাওয়া অসম্ভব। ‘রোট লার্নিং’ কার্যকর হচ্ছে না। এজন্য আমরা শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। আমরা কাজ করে শেখার উৎসাহিত করার চেষ্টা করছি। একজন শিক্ষক গাইডের ভূমিকা পালন করবেন।
প্রতিদিন মূল্যায়ন করা হবে। শিক্ষাও মজার হওয়া উচিত। আমরা শুধু সার্টিফিকেট পাই কিন্তু বলতে পারি না যে আমরা সত্যিই শিখেছি।
এছাড়া চাকরির বাজারে দক্ষতার ফাঁক রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষারও পরিবর্তন হবে। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য প্রস্তুত থাকুক। আমরা চাই তারা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় যাক।
এছাড়া তারাই সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এই বছরের জন্য বিতরণ করা পাঠ্যপুস্তকের তিনটিতে পাওয়া নয়টি ভুল সংশোধন করেছে। এনসিটিবি ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ এ এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে এবং তাদের ওয়েবসাইটে সংশোধন পোস্ট করেছে।
এছাড়া ৯-১০ শ্রেণির তিনটি পাঠ্যবইয়ে ভুলগুলো ধরা পড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাস’-এ চারটি, ‘বাংলাদেশ অ্যানড গ্লোবাল স্টাডিজ’-এ তিনটি এবং ‘সিভিক অ্যান্ড সিটিজেনশিপ’-এ দুটি ভুল পাওয়া গেছে। এনসিটিবি তাদের ওয়েবসাইটে বিস্তারিতভাবে সমস্ত সংশোধন প্রদান করেছে।
এছাড়া বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং অধ্যাপক হাসিনা খান তাদের সম্পাদিত নতুন ক্লাস ৭ বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে পাওয়া চুরির বিষয়বস্তুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সোমবার জারি করা এক বিবৃতিতে তারা দায়িত্বও নিয়েছে।
এছাড়া এ বছর থেকে নতুন পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক ‘অনুসন্ধানী পথ’ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাপিয়ে বিতরণ করা হয়েছে।