৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কানাডায় অর্থ পাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
বৃহস্পতিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া প্রায় তিন ডজন মামলার মধ্যে এই প্রথম কোনো মামলার বিচার শুরু হলো।
বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন, পি কে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি, অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
আজ শুনানিকালে কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধাকে আদালতে হাজির করা হয়। এদিন তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার চান।
পি কে হালদারসহ ১০ আসামি পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে শুনানি হয়নি। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করতে পারেননি।
পলাতক দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন।
মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷
চার্জশিটে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।