জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটি নতুন রাজনৈতিক ধারায় প্রবেশ করেছে। এ ধারায় আর চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও নোংরা রাজনীতির পুরনো সংস্কৃতি চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সংগঠক ও নোয়াখালী অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক মুনতাসির মাহমুদ।
সোমবার (২৬ মে) বিকেল ৪টা থেকে ফেনীর পরশুরাম উপজেলা থেকে শুরু করে সদর, পৌরসভা ও সোনাগাজী উপজেলায় এনসিপি নেতাকর্মীরা পথসভা, জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেন।
এসব কর্মসূচীর পথসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুনতাসির মাহমুদ। পথসভা সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদুল ইসলাম সৈকত।সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক আজিজুর রহমান রিজভি, মনসুর আব্দুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্য এহসানুল মাহবুব যোবায়ের।এসব কর্মসূচীতে এনসিপির নেতৃৃবৃন্দ বলেন, এনসিপি মৌলিক রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন চায়।
তারা সংবিধান, প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যকর সংস্কার, স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন ও বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুনতাসির মাহমুদ প্রশ্ন রেখে বলেন, সংস্কারের কথা বললে কারো মাথা গরম হয়ে যায় কেন? যখন সবাই মিলে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছি, তখন কেউ কেউ আবার কেন ভারতের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছে? কেন আবার ফেনীতে বালুমহাল দখল, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস এবং কুৎসিত রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে?
তিনি আরও বলেন, আমাদের কারো সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। কিন্তু কেউ যদি ফ্যাসিবাদী কায়দায় রাজনীতি করতে চায়, তবে বাংলাদেশের মানুষ তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। শহীদদের রক্তের শপথ করে বলছি, এই দেশে আর কখনো ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেবো না।
মুনতাসির মাহমুদ জোর দিয়ে বলেন, আমরা উগ্র ডান কিংবা বামপন্থী রাজনীতি করবো না। আমরা বাংলাদেশপন্থী, জনগণের পক্ষে রাজনীতি করতে চাই। কোনো বিদেশি শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিহত করবো।
পথসভা ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, এনসিপির জেলা সংগঠক শাহ ওয়ালী উল্যাহ মানিক, সুজা উদ্দিন সজিব, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আবদুল্লাহ আল জুবায়ের, সাবেক সমন্বয়ক মোহাইমিন তাজিম, আবদুল কাইয়ুম সোহাগ, ওমর ফারুক, সালমান হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মাহফুজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
পথসভা শেষে নেতাকর্মীরা দোকানি, ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং এনসিপির বার্তা জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেন।