পাকিস্তানের রাজনীতি এখন অনেকটাই উত্তাল।পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার চেষ্টা এরপর সমর্থকদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও উতপ্ত। এরইমধ্যে শনিবার তোশাখানা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে যখন ইসলামাবাদ যাচ্ছিলেন ইমরান খান, তখন লাহোরের জামান পার্কে তার বাসভবনে অভিযান চালায় দেশটির পুলিশ।
দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এদিন গেট ভেঙে বাসভবনে ঢুকে পড়ে পুলিশ। সেই সঙ্গে ব্যাপক তছনছ ও ভাংচুর চালানো হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভবনের বাসিন্দাদের মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়েছে বলে।
ইসলামাবাদের পথে থাকা অবস্থায় পুলিশের অভিযানের নিন্দা জানিয়ে ইমরান খান প্রশ্ন করেন, কোন অধিকারে পুলিশ তার বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে?
ইমরান খানের বোন উজমা খানুম অন্য এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, ওয়ারেন্ট ছাড়াই অভিযান পরিচালনা করেছে পুলিশ। অভিযানে সময় পুলিশ সদস্যরা নারীদের হয়রানি এবং বাড়ির কাজের লোকদের নির্যাতন করেছে। পুলিশ তার স্বামী ও কয়েকজন কাজের লোককে তুলে নিয়ে গেছে।
পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাড়িতে অভিযানের নেপথ্যে রয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেত্রী মরিয়ম নওয়াজ।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলীয় চেয়ারম্যান ইমরান খানের বাসভবনে চালানো পুলিশি অভিযানকে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ হিসেবে উল্লেখ করেছে পিটিআই। একই সঙ্গে পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ইমরান খানকে গ্রেফতারের চেষ্টা এবং তার বাসভবনে অভিযানকে ‘লন্ডন পরিকল্পনার অংশ’(লন্ডনে রয়েছেন পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফ, পাকিস্তানের রাজনীতি নিয়ে যিনি সেখান থেকেই দলকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলে মনে করা হয়) হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ইমরান খানকে গ্রেফতার করানোর চেষ্টা এবং তার বাড়িতে অভিযান পরিচালনার পেছনে রয়েছে পিএমএল-এন এর প্রধান সমন্বয়কারী মরিয়ম নওয়াজের পরিকল্পনা।
পুলিশি অভিযানের পর জামান পার্ক পরিদর্শন করেন পিটিআই প্রেসিডেন্ট চৌধুরী পারভেজ এলাহি। এ সময় তিনি ওই পদক্ষেপকে ‘বর্বরতা ও সহিংসতা’ বলে অভিহিত করেন এবং এর তীব্র নিন্দা জানান।
এ সময় মরিয়ম নওয়াজ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে উল্লেখ করেন পিটিআই প্রেসিডেন্ট।