সংবাদ সংগ্রহকালে স্থানীয় স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ফটো সাংবাদিক ইমরান হোসেনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা ও বেধড়ক মারপিটের প্রতিবাদে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি করেছে কুষ্টিয়ার সাংবাদিকরা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের গেটের সামনে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।এসময় দোষীদের আইনের আওতায় আনতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দেবারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে এসময় বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগর, প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান লাকী, বাংলাভিশনের প্রতিনিধি হাসান আলী, দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুন্সী শাহীন আহমেদ, প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ এম লিটন-উজ জামান, দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরন্নবী বাবু, দেশ টিভির স্টাফ রিপোর্টার নাহিদ হাসান তিতাস সহ অন্যান্যরা।
প্রেসক্লাবের সভাপতি আল-মামুন সাগর
বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশের সামনে ন্যক্কারজনক হামলার শিকার হয়েছেন ফটো সাংবাদিক ইমরান। এটা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। চিহ্নিত হামলাকারীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারে। তাহলে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুন্সী শাহীন আহমেদ বলেন, পুলিশের সামনে ইমরানের ওপরে হামলা করা হয় এবং তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনার পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে কারা হামলা করেছে। তবে কোন এক অদৃশ্য কারণে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচী দিবো।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন রোববার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় কুষ্টিয়া শহরের ফুলতলা এলাকায় প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র ইব্রাহিম (৬) নিহত হয়। এতে তার দাদী আহত হন। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় ইমরান। “দৈনিক খবরওয়ালা” পত্রিকার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লাইভ চলাকালে চিহিৃত সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী রকি (৩২) এবং আরিফুল (৩৩) সহ আরও ১০/১২ জন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে এবং নাক, পিঠ ও মাথা কেটে রক্তাক্ত জখমের করে। ‘মেঘ না চাইতেই জল’ স্লোগান দিয়ে দিয়ে ইমরানকে মারপিট করা হয়। যার একটি ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এছাড়াও ইমরান হোসেনের থাকা অফিসের প্যানাসনিক পিভি-১০০ মডেলের ভিডিও ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বয়া (মাইক্রোফোন) ছিনিয়ে নেয়। এরপর বাংলা টিভির ক্যামেরা পার্সন আলিম সহ অনান্য সাংবাদিকরা ইমরানকে উদ্ধার করে।
কুষ্টিয়ার পুলিশ পুলিশ মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, টেলিভিশন ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকবৃন্দ।