ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপির) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ১৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়েছে। ঘটনার প্রায় ৮ বছর পর এ মামলার আবেদন করা হয়। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে এ ঘটনা সংঘটিত হয়।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে নিহত জনির বাবা মো. ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে এ আবেদন করেন। আদালত জানিয়েছে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আদেশ পরে দেবেন।
মামলার আবেদনে অপর আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের বর্তমান কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার- হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবি রমনা জোনের এস আই দীপক কুমার দাস, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক-ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এস আই-শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান, ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন। ঘটনার সময় প্রত্যেকেই ডিএমপি দক্ষিণ জোন ডিবিতে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বাদীপক্ষে শুনানি করেন। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ ও হান্নান ভুইয়া।
এর বিপরীতে ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল মামলাটি গ্রহণ না করতে শুনানিতে বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ঘটনার আট বছর পর মামলা করতে আসা মানে রাজনৈতিক ফায়দা আছে। এতদিন তারা মামলা করেনি। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এ মামলার আবেদন করা হয়েছে।