পণ্য পরিবহনের সার্ভিস চার্জ ও পরিচালনা ব্যয় হিসেবে প্রতিটি ট্রাক থেকে ৩০ টাকা হারে চাঁদা তোলার দাবি জানানো হয়েছে। তবে উত্তোলন করা এ টাকা ‘চাঁদা’ হিসেবে নয় বরং ‘ট্রাক শ্রমিকদের মানবিক’ কাজে ব্যয় করা হবে। যার কারণে একে ‘মানবিক চাঁদা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এক মতবিনিময় সভায় এমন প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ফরিদপুর ট্রাক ড্রাইভার্স ইউনিয়ন।
গতকাল বুধবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবের মরহুম সাংবাদিক শামসুদ্দীন মোল্লা মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ফরিদপুর ট্রাক ড্রাইভার্স ইউনিয়ন। এ সভায় দাবির সমর্থনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের জাকির।
জুবায়ের জাকির বলেন, ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের এক সভা হয়। ওই সভায় বাংলাদেশ ট্রাক-কভার্ডভ্যান, লরি মালিক ও শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয় পণ্যবাহী যানবাহনে চাঁদা নেওয়ার ব্যপারে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। সেই অনুযায়ী কোনো কোনো জেলায় পণ্য পরিবহনের সার্ভিস চার্জ ও পরিচালনা ব্যয় বাবদ ৩০ টাকা করে উত্তোলন করা হচ্ছে। কিন্তু ট্রাকের কোনো টার্মিনাল না থাকায় ফরিদপুরে এ বিষয়টি আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি।
তিনি বলেন, ফরিদপুরে ট্রাক চালক ও শ্রমিক মিলে এক হাজার আটশত সদস্য রয়েছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তাদের দুর্ঘটনাজনিত কিংবা মৃত্যুকালীন কোনো প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
উত্তোলন করা এ ত্রিশ টাকাকে ‘মানবিক চাঁদা’ হিসেবে উল্লেখ করে জুবায়ের জাকির বলেন, তিন টন থেকে তিন টনের ঊর্ধ্বের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক থেকে জেলার নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে এ ৩০ টাকা তোলা হবে। তবে খালি ট্রাক থেকে কোনো টাকা তোলা হবে না।