প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দিতে দেশের প্রতিটি বিভাগে ডেডিকেটেড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রতিটি বিভাগে শিশু হাসপাতাল স্থাপন জরুরি।’
বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৫টি জেলায় তৃতীয় ধাপের আওতায় ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি অ্যান্ড হাসপাতালে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
তিনি বলেন যে শিশুদের উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রতিটি বিভাগীয় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা জেলা হাসপাতালে পদক্ষেপ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, সরকার শিশু চিকিৎসা সামগ্রী ও ইনকিউবেটর থেকে কর মওকুফ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার সরকার সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং পর্যায়ক্রমে সব বিভাগে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। মেডিকেল কলেজগুলো ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত হবে, যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেবে এবং আমরা সেদিকে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, সরকার সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ করেছে যাতে বেসরকারি উদ্যোগে মেডিকেল কলেজ ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠা করা যায়।
সরকার ওষুধের সরঞ্জাম বা হাসপাতাল নির্মাণ সামগ্রীর ওপর কর কমিয়েছে যাতে বেসরকারি খাতে মেডিকেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এটিকে আট হাজার শয্যার সুবিধায় উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি, কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আমরা নির্মাণ শুরু করতে পারি, ভবিষ্যতে এটি নির্মাণ করা হবে, এর জন্য আমরা বিশেষ পরিমাপক নিয়েছি।’
কমিউনিটি ভিশন সেন্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, তিন ধাপে প্রায় ১৩৫টি কমিউনিটি ভিশন সেন্টার খোলা হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে সারাদেশের সব উপজেলায় তা চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
জাতীয় চক্ষুবিদ্যা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফা কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
পরে তিনি ভোলার চরফ্যাশন, বরগুনার আমতলী, কক্সবাজারের পেকুয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগদানকারী বিভিন্ন অংশের মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।