প্রতিটি মামলার হিসাব নিচ্ছি। সাক্ষীদের কথা শুনছি। কিছুই হয়নি। সাজিয়ে সাজিয়ে আর মামলা দেবেন না। হিসাব কিন্তু একদিন হয়। নিষেধাজ্ঞা এসেছে। জনগণের নিষেধাজ্ঞা যদি আসে, তখন আরও বড় বিপদ সৃষ্টি হবে বলে জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার(৩০ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে
বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, পুলিশের নির্যাতন ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, হঠাৎ সরকার এত ভীতসন্ত্রস্ত হয়েছে যে তারা বিভাগীয় সমাবেশ বন্ধ করার জন্য, আন্দোলনকে দমন করার জন্য এখন মরিয়া হয়ে আক্রমণ করছে। গায়েবি মামলা দিচ্ছে। মিথ্যা মামলা নিচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে, গ্রেপ্তার করছে।
নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার তথ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে ১৬৯টি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় নাম দিয়ে আসামি করেছে ৬ হাজার ৭২৩ জনকে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫০ জনকে। আর ইতিমধ্যে ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছেন, সেখান থেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাতের বেলায় নেতা-কর্মীদের ডিবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আবার সেই একইভাবে একই কায়দায় ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে যে কায়দায় দেশের মানুষের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল, সেভাবেই আবার তারা (সরকার) শুরু করেছে। তবে মানুষকে স্তব্ধ করে রাখা যায়নি। আজকে মানুষ জেগে উঠেছে।
এদিকে আগামী ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে বিএনপিকে যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তা পরিবর্তন করে নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দয়া করে সংঘাতের পথে যাবেন না। নয়াপল্টনেই যেন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হতে পারে, সে ব্যবস্থা করুন।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী (এ্যানি) প্রমুখ।