বাহরাইন ও মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়া কাপের মূল পর্বের টিকিট আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। শনিবার (৫জুলাই) তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি ছিল কেবলই নিয়মরক্ষার । তবে নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও তুর্কমেনিস্তানের জালে প্রথমার্ধেই ৭ গোল দিয়েছে বাংলাদেশ।
শক্তিশালী বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ‘উইমেন্স এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব’ শুরু করেছিলো বাংলাদেশ। এরপর ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা মিয়ানমারকে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখায় বাংলাদেশের মেয়েরা। টানা দুই জয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ খেলবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আজ (৫ জুলাই) তুর্কমেনিস্তারে বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। যদিও এ ম্যাচ কেবলই নিয়মরক্ষার। তবুও প্রতিপক্ষকে এতটুকুও ছাড় দেয়নি পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
মিয়ানমারের বিপক্ষে যে একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, সেই একাদশ নিয়েই আজ মাঠে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে খেলতে থাকে লাল-সবুজের মেয়েরা। ম্যাচের মাত্র তিন মিনিটেই স্বপ্না রাণীর গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। এর পর যেন একের পর এক গোলের ঢল।
ম্যাচের ৬ মিনিটে শামসুন্নাহারের পা থেকে আসে দ্বিতীয় গোল। তাতেও যেন তার গোলের ক্ষুদা মেটেনি। ১৩ মিনিটে আরও একটি গোল করে নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ১৬ মিনিটে স্কোরশিটে নাম লেখান মনিকা চাকমা। পরের মিনিটেই ঋতুপর্ণা চাকমা গোল করে ব্যবধান আরও বাড়ান। এত দ্রুত গোল হজম করে হতভম্ব হয়ে যান তুর্কমেনিস্তানের কোচ। ১৯ মিনিটেই গোলরক্ষক পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। ২০ মিনিটে গোল করেন তহুরা খাতুন, ব্যবধান দাঁড়ায় ৬-০।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্যও এই ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছিল। জর্ডান, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং মিয়ানমারের মতো র্যাঙ্কিংয়ে উপরের দলগুলোকে হারানোর পর তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে বড় জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নেমেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।