ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে গঠিত প্রথম ধাপের ছয়টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি কমিশনের মেয়াদ ১৫ জানুয়ারি এবং একটি কমিশনের মেয়াদ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পেয়েছে—
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন
পুলিশ সংস্কার কমিশন
দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন
সংবিধান সংস্কার কমিশন
অন্যদিকে, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।
গত ৩ অক্টোবর প্রথম ধাপের পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এ কমিশনগুলোর দায়িত্ব ছিল ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া। সেই হিসেবে ২ জানুয়ারি তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল।
এরপর, ৬ অক্টোবর সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন করা হয় অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে। এই কমিশনের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫ জানুয়ারি।
তবে নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে না পারায় সব কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
গত ৪ নভেম্বর ছয় কমিশনের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কমিশনগুলোর কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়।
কমিশনগুলো ওয়েবসাইট খুলে জনগণের মতামত সংগ্রহ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, মতবিনিময়, জরিপ এবং লিখিত মতামত সংগ্রহ করেছে। সুপারিশ তৈরির জন্য এসব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন তৈরির কাজ অব্যাহত রয়েছে।
প্রথম ধাপের ছয় কমিশনের পাশাপাশি গত ১৮ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে আরও পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এগুলো হলো—
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন
স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন
শ্রম সংস্কার কমিশন
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন
স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন
এই কমিশনগুলোর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রথম ধাপের ছয়টি সংস্কার কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর মাধ্যমে তাদের কাজ শেষ করার জন্য আরও সময় দেওয়া হলো। দ্বিতীয় ধাপের নতুন কমিশনগুলোও কাজ শুরু করেছে। এসব সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতের কাঠামোগত পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।