জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা আহম্মেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘উসকানিমূলক ও আপত্তিকর’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তাকে।
দুদিনের রিমান্ড শেষে আজ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এই নেত্রীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই আশরাফুল আলম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
গত ৬ নভেম্বর তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন এসআই আশরাফুল আলম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে রাজধানীর পল্টন থানায় সুলতানার বিরুদ্ধে মামলা করেন গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ। এরপর গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে প্রকাশ্যে মিডিয়াকর্মীদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বক্তব্য দেন সুলতানা। সেখানে তিনি ‘উসকানিমূলক ও আপত্তিকর’ কথা বলেন। এ ছাড়া দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা অবনতিসহ স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বিচার বিভাগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে বক্তব্য দেন।