চট্টগ্রামের জনসভায় দশ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রবিবার বরণ করে নিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটি। প্রায় ১০ লাখ লোক জনসভায় যোগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণ দেবেন নৌকা আকৃতির ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের মঞ্চে। নগরীর পলোগ্রাউন্ডে জনসভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।
তার দিনব্যাপী সফরে শেখ হাসিনা ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি প্যারেড-২০২২ এ অংশ নেবেন। তিনি প্যারেডে সালাম গ্রহণ করবেন।
সরকার চট্টগ্রামের জন্য ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে যা এখন বাস্তবায়নাধীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
বিকাল ৩টায় রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
নগরীর বিভিন্ন সড়কে প্রধানমন্ত্রীর পোস্টার ও ব্যানার সংবলিত রঙিন তোরণ ও গেট নির্মাণ করা হয়েছে।
নগরীতে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানিয়ে বিলবোর্ড, ব্যানার, বেলুন, ফেস্টুন ও পোস্টার টাঙানো হয়েছে।
সমাবেশকে সামনে রেখে ফুটপাথ পরিষ্কার ও রঙ করা, রঙিন আলো দিয়ে ফ্লাইওভার সাজানো এবং বিভিন্ন এলাকার জরাজীর্ণ সড়ক মেরামতসহ বিভিন্ন সড়কে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি)।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১০ বছর পর এখানে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও স্থানীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন।
জনসভা উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ (সিএমপি)।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, শহরজুড়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সাত হাজার ৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন জেলা সফরের পরিকল্পনা রয়েছে শেখ হাসিনার। এরই অংশ হিসেবে যশোর স্টেডিয়ামে প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যশোরে জনসভার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী প্রচারণা।
আগামী ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের আরেকটি জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।