রাজশাহীতে আগামী রবিবার অনুষ্ঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। এই জনসভায় বিএনপির লোকেরাও উপস্থিত হবেন বলে নিজের বিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শুক্রবার(২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জনসভাস্থল রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এমনটা জানান।
গত দুইদিন আগে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল মাহমুদ টুকু দাবি করেছেন জনসভা ঘিরে রাজশাহীতে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুলিশ হয়রানি করছে। তার এ বক্তব্যকে মিথ্যাচার উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বিএনপি আমাদের কাছে কোনো সাবজেক্ট নয়। টুকু মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ইকবাল মাহমুদ টুকুরা এভাবেই মিথ্যা বলেন। সত্যকে আড়াল করা তাদের কাজ। তারা বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃতি করার চেষ্টা করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে বিলীন করে দিয়েছিল এই টুকু সাহেবরা।’
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উন্নয়নের বার্তা শুনতে লাখ লাখ মানুষ আসবেন। উত্তরাঞ্চলের মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বিএনপির লোকেরাও এই সভায় উপস্থিত হবে। কারণ যারা বিএনপি করে তারা এই দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপের নাগরিক নয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের আরেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি বলেছিল ১০ তারিখের পরে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। কিন্তু এখনো শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশ চলে। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির পেছনের প্রেক্ষাপটটা হলো একটা অসাংবিধানিক এবং অপরাজনৈতিক শক্তিকে ক্ষমতায়ন করা এবং এই ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার একটা প্রশ্ন আছে। এটা দেশের মানুষ মানে না।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের পরিদর্শককালে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নুরুল ইসলাম ঠাণ্ডু, বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারা প্রমুখ।