বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের বিদেশে টাকা পাচার করতে সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের (পুলিশ) বলেছেন তোমরা বিদেশে টাকা পাঠাও স্ত্রী-সন্তানরা সুখে থাকুক আর আমাকে সহায়তা করো, আমি যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ করো। বিচারকদের বলেছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের এখন সাজা দেওয়ার জন্য। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছে, বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দাও আটক করে জেলে পাঠাও।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের নিচতলায় ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের উদ্যোগে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, প্রশাসনের ২৭২ জন কর্মকর্তা বিদেশে টাকা পাচার করেছে সেখানে তাদের স্ত্রী-সন্তানদেরও রেখেছে। পুলিশের ৩০ জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) যুক্তরাষ্ট্রে টাকা পাচার করেছে, এগুলো কি শেখ হাসিনা জানেন না। আসলে তিনি এসব কর্মকর্তাকে টাকা পাচারের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তাদের বলেছেন, তোমরা বিদেশে টাকা পাঠাও স্ত্রী-সন্তান সুখে থাকুক আর আমাকে সহায়তা কবো, আমি যেভাবে বলবো সেভাবে কাজ করো।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য, তাকে মুক্ত করার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামতে হবে। কারণ শেখ হাসিনা মনুষ্যত্বহীন অমানবিক নেত্রী। সব স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে দেশ বিক্রির পাঁয়তারা করছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া থাকলে তা পারবেন না। তাই খালেদা জিয়ার ওপর এত অত্যাচার নির্যাতন করছেন এবং চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন না।
সরকার দেশের জনগণের ভালো চান না মন্তব্য করে তিনি বলেন, এ সরকার সব কিছুর দাম বাড়িয়েছে। সারের দাম বাড়িয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সার কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষকরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক এতে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। তার পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিদেশে টাকা পাচার করুক তাদের স্ত্রী সন্তানরা ভালো থাকুক এটাই চায়। তিনি কৃষকদের ভালো চান না, দেশের জনগণেরও ভালো চান না।
পুলিশের জন্য ৯০ হাজার কোটি টাকার টিআরগ্যাস আমদানি করেছে কীসের জন্য প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, এদেশের জনগণের মুক্তির সংগ্রামে বাধা দেওয়ার জন্য, ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করার জন্য দেশের জনগণের টাকা দিয়ে গুলি কিনছে টিআরগ্যাস কিনছে। আর এগুলো ব্যবহার করবে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর।