আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলছেন, যুদ্ধ এবং মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী নানান সংকট তৈরি হয়েছে। তারই ধারাবাহিকহতায় বাংলাদেশের কিছু মানুষও কষ্টে আছে। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই সংকট দীর্ঘায়িত হবে না। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্রাইসিস ম্যানেজার।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত যুব মহাসমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির কাজই প্রপাগান্ডা চালানো। তাদের মিথ্যাকে আমাদের সত্য দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। নির্বাচনের যে ১৪ মাস বাকি আছে এই সময়ে সবকিছু ভুলে নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এই যুব মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সবাই যে সম্মিলিত ভূমিকা রেখেছেন, এমন ভূমিকা অব্যাহত রাখলেই বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।
শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘এই মহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে আমি আমার যুবলীগের সহকর্মীদের কাছে তিন দাবি রাখতে চাই। সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে ভাই-ভাইয়ের সঙ্গে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করে, নিঃশর্তভাবে ঐক্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ সব সহযোগী সংগঠনের মধ্যে যদি ঐক্য-সমন্বয় থাকে, তাহলে কোনো যুদ্ধপরাধী, রাজাকার, আল বদরের বংশধররা বাংলাদেশের মুক্তিযদ্ধের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করতে পারবে না।’
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘আরেকটা দাবি রাখতে চাই, যে উন্নয়ন বঙ্গবন্ধুকন্যা আমাদের এ দেশকে দিয়েছেন, সেই অর্জনগুলোকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে হবে এবং মানুষকে জ্ঞাত করতে হবে। বিএনপি প্রপাগান্ডার রাজনীতি করে। এ প্রপাগান্ডা আমাদের খণ্ডন করতে হবে। বিএনপির মিথ্যাকে আমাদের সত্য দিয়ে ঢাকতে হবে এবং এই সত্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিএনপিকে আমরা পরাজিত করব।’
তৃতীয় দাবি হিসেবে শেখ পরশ বলেন, ‘শেষ দাবি, প্রায় ১৪ বছর আমরা রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছি। আর ১৪ মাস ক্ষমতায় আছি। অনেক নিশ্চিন্তে আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। অনেক শান্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের রেখেছেন। আগামী ১৪ মাস বিনিদ্র রাত্রি কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আনতে হবে। চলেন এ ১৪ মাস আমরা পরিবার-বন্ধু ভুলে যেয়ে শুধু দুটি কথা মাথায় রাখি; বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকা মার্কা। ১৪ মাস পর যে বিজয় আমরা অর্জন করব, তারপরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর কোনো স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দাঁড়াতে পারবে না।’
এর আগে, দুপুর আড়াইটায় যুব মহাসমাবেশ শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শেষে শুরু হয় সভা।
সভা সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।