যুক্তরাষ্ট্র গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি বলে আগেই জানিয়েছিলো। একই সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধীদলীয় কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও নির্বাচনের দিনে অনিয়মের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
এ সময় এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান— বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করে এবং বিরোধী দলের হাজারো নেতাকর্মীকে জেলে রেখে অনুষ্ঠিত প্রতারণার নির্বাচনের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কি পদক্ষেপ নেবে? এর আগে আপনি যেমনটি আপনার বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলেন এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।
এ প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং নির্বাচনের দিনে অনিয়মের রিপোর্টে আমরা উদ্বিগ্ন। অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আমরা দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করি যে, এই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের আগের মাসগুলোতে সহিংসতার নিন্দা জানাই আমরা। সহিংসতার বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য এবং স্বচ্ছ তদন্ত; এতে জড়িতদের জবাবদিহিতায় আনতে বাংলাদেশ সরকারকে আমরা উৎসাহিত করছি। একই সঙ্গে রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করতে সব দলের প্রতি আহ্বান জানাই।
এর পর অন্য এক প্রশ্নে ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়— যখন আপনারা বলছেন, বাংলাদেশে এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য হয়নি, তা হলে যুক্তরাষ্ট্র কি টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বীকৃতি দেবে না? জবাবে ম্যাথিউ মিলার ইংরেজিতে দুটি শব্দ উচ্চারণ করেন। তা হলো— ‘নো, নো’।