ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে হয়রানির অভিযোগ উঠছে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে আইনের বিধি সংযুক্ত বা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তা আছে।
রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্সের সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশে-বিদেশে বা জাতিসংঘে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু অপব্যবহার হয়েছিল, সেটা আমরা স্বীকার করে এ বিষয়ে কী পরিবর্তন আনা যায়, সেটি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি।
তিনি বলেন, আলোচনা এখনো চলমান আছে। সেখান থেকে একটা টেকনিক্যাল নোট এসেছে, আমরা সেটি নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করছি। সাংবাদিকদের যাতে অহেতুক হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে একটা পদ্ধতি গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সুধীজনদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে ৩০ মার্চ আবারও বসার কথা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে তা স্থগিত করা হয়। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পুনরায় বসা হবে। সুধীজনরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ডাটা প্রটেকশন আইন এবং এনজিও ভলেন্টারি নিয়েও একটা আইনের কথা বলেছেন। এসব নিয়েও আলোচনা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বিশ্বের সব দেশে আছে। এই অ্যাক্ট বিশ্বের সব দেশে আছে কিন্তু সেখানে হয়তো সরাসরি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বলা নেই। ডিজিটাল অপরাধ কমাতে এ আইন করেছে সব দেশ।
একটা শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে একটা ফটোকার্ড তৈরি করে দেশের মর্যাদা হেয়-প্রতিপন্ন করা যায় কিনা- সেই প্রশ্নও তোলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশের কোনো গণমাধ্যম বা সাংবাদিকের বিরুদ্ধ সরকার মামলা করেনি। মামলা হয়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, অপরাধের বিরুদ্ধে৷