বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ১০টি পদের লিখিত পরীক্ষা নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা শুরুর দেড় ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
এরপরই বিমান কর্তৃপক্ষ পরীক্ষাটি স্থগিত ঘোষণা করে। পরীক্ষার্থীরা আগে থেকে কিছু না জানার ফলে কেন্দ্রে গিয়ে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি জানতে পারেন।
শুক্রবার(২১ অক্টোবর)বেলা তিনটা থেকে বিমানের জুনিয়র অপারেটর জিএসই, জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিকসহ ১০টি পদের লিখিত পরীক্ষা ছিল। কেন্দ্র ছিল রাজধানীর উত্তরার নওয়াব হাবিবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং আইইএস উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বেলা দেড়টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশ থেকে আমাদের জানানো হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এরপর বেলা দুইটার দিকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে ঢোকার আগে আমরা পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিই।’
জাহিদ হোসেন বলেন, শেষ মুহূর্তে আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের তথ্য জানতে পারি। তাই শেষ মুহূর্তে পরীক্ষা স্থগিত করা ছাড়া আমাদের কিছু করার ছিল না। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে বিমানের কোনো চক্র জড়িত থাকলে তাদের চাকরিচ্যুত করাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বলতে পারব প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কি না। যেহেতু প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পেয়েছি, তাই সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য ১০টি পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
এ পদগুলো হলো জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)। এসব পদের লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তী সময়ে পরীক্ষার্থীদের মুঠোফোনে ও বিমানের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে।