জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘স্মার্ট লুটপাট’র বাজেট বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট অবশ্যই স্মার্ট বাজেট। এতো স্মার্টলি লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা কোনো সরকার বা দলের লোকজন পাচার করতে পারবে? এতো স্মার্টলি ব্যাংক লুটপাট, সিন্ডিকেট পরিচালনা,জনগণের সম্পদ লুট করতে পারবে? সেই দিক থেকে এই বাজেট স্মার্ট, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আজ বৃহস্পতিবার (০১ জুন) বিকালে বানানীর নিজ বাসায় প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির অন্যতম নীতিনির্ধারক আমির খসরু এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
সামষ্টিক অর্থনীতি ভেঙে দিয়ে আওয়ামী লীগ ঋণের জন্য সবার ধারে ধারে যাচ্ছে অভিযোগ করে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী খসরু বলেন, একটি দলীয় চিন্তার ভিত্তিতে পৃষ্ঠপোষকতার-লুটপাটের অর্থনৈতিক মডেল সৃষ্টি করে বাংলাদেশের গত ৩০ বছরের যে কষ্টের মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতি যেখানে এসে দাঁড়িয়েছিল তারা সেটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। যে জন্য তারা আজকে আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের দ্বারে যাচ্ছে। সবার দ্বারে যাচ্ছে, কোনো ব্যাংক বাকি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ছাপাতে হচ্ছে এখানে। টাকা ছাপিয়েও কুলাতে পারছে না। এখান থেকে বের হতে হলে এই অবৈধ দখলদার সরকার বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
আমির খসরু বলেন, দেশের বাইরে ও ভেতর থেকে তারা যে ঋণ নিচ্ছে, এটা শোধ করতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ঋণ নিয়ে ঘি খাচ্ছে। তিনি বলেন, ভাড়া, চাঁদা আর কমিশন ভিত্তিক অর্থনীতি করছে সরকার। যার দায়ভার জনগণকে দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে গেলে সরকারের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ কমাতে হবে, টাকার মান বাড়াতে হবে ডলারের বিপরীতে লুটপাট বন্ধ করতে হবে। না হলে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবেনা। জিনিসপত্রের দাম কমানো সম্ভব হবে না।
প্রসঙ্গত আজ ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিকেল ৩টায় তিনি ডিজিটাল উপস্থাপনার মাধ্যমে বাজেট পেশ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করা হয়েছে সাড়ে ৭ শতাংশ।