নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার কাগজপত্র জমা দিয়েছিল ন্যাশনাল কনসেন্সাস পার্টি (এনসিপি)। তবে এত বিশাল পরিমাণ ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার পরও প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি দলটি। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক যাচাইয়ে এনসিপির আবেদনে কিছু ঘাটতি পাওয়া গেছে। এ কারণে দলটিকে আবারও কিছু অতিরিক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ। তিনি বলেন, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে প্রথম ধাপে ৬২টি দলকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। যেসব দলে ঘাটতি রয়েছে, তাদেরকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হবে তা সংশোধনের জন্য। পরে দ্বিতীয় ধাপে অন্য দলগুলোকে জানানো হবে।
গত জুনের শেষ দিকে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পেতে এনসিপি বিপুল পরিমাণ কাগজপত্র ট্রাকে করে নির্বাচন ভবনে জমা দেয়। সেদিন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটওয়ারী জানান, দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য যে সব শর্ত নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করেছে, তা পূরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তারা প্রস্তুত করেছেন এবং কমিশনে জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, “নিবন্ধনের জন্য যা যা দরকার, তার কিছুই বাদ দিইনি। ট্রাকে করে ডকুমেন্ট নিয়ে এসেছি এবং আমাদের প্রতিনিধি দল তা জমা দিয়েছে।”
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত কিছু শর্ত রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—দলের একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থাকতে হবে, কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর কমিটি থাকতে হবে এবং দেশের অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মহানগর থানায় ২০০ জন করে ভোটারের সমর্থনের প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।
এছাড়া, দলীয় প্যাডে দরখাস্তের সঙ্গে দলের গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার (যদি থাকে), বিধিমালা (যদি থাকে), দলের লোগো ও পতাকার ছবি, কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্যের নামের তালিকা, ব্যাংক হিসাব নম্বর ও সর্বশেষ স্থিতি জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখবে সংশ্লিষ্ট দলটি নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করেছে কি না। যদি সব শর্ত পূরণ করে, তাহলে দলটিকে নিবন্ধন দেওয়া হবে এবং দলীয় প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।