মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বাবা। রংপুরে এ হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির নাম নওশাদ আলী (৫৫)। তাকে পিটিয়ে হত্যার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত নওশাদ আলী রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কাচারিবাজার এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯ টার দিকে রংপুর-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের ইছলারহাটের চেংটুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, নিহত নওশাদ আলীর মেয়ের সঙ্গে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামধন এলাকার ওসমান গণির ছেলে আব্দুল করিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় আব্দুল করিম।
নওশাদ আলী এ ঘটনার পর করিমকে আসামি করে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করেন নওশাদ আলী। এরপর পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে বাবার জিম্মায় দেয় এবং আব্দুল করিমকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়। এ মামলায় প্রায় তিন মাস হাজতবাসের পর সম্প্রতি জামিনে বের হন আব্দুল করিম।
নওশাদ আলীর মেয়ে আব্দুল করিমের জামিনের খবর পেয়ে আবারও তার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। বুধবার সকালে আব্দুল করিমের বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে জোর করে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন নওশাদ আলী।
যাত্রাপথে ইছলারহাটের চেংটুর ব্রিজে এলাকায় পৌঁছালে তার পথ রোধ করে বেধড়ক মারধর করে আব্দুল করিম। এতে নওশাদ আলী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইছলার হাটে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ সময় তার অবস্থার অবনিত হওয়ায় রমেক হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পীরগাছা থানার এসআই আব্দুল মালেক বলেন, তদন্তে জানা গেছে প্রেমঘটিত কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। নওশাদ আলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে রমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।