বিপিএলের দশম আসরেও শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল। তামিম ইকবালের অধিনায়কত্বে টানা শিরোপা জয়ে বরিশালে শুরু হয়েছিল উৎসব। তবে দর্শকদের চেয়ার ছোঁড়া ও হুড়োহুড়িতে পণ্ড হয়ে গেছে বিপিএল জয়ের এই আয়োজন। আয়োজক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা আর অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে এ অনুষ্ঠান পণ্ড হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) নগরীর বেলস পার্ক মাঠে টানা দ্বিতীয় বারের মতো শিরোপা জয় উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছিল এই উৎসব।
ট্রফি প্রদর্শন এবং দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর কথা ছিল সেখানে হবে কনসার্ট। তবে লাখো জনতার ভিড় সামলাতে যতটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকা দরকার ছিল তা না থাকার পাশাপাশি আয়োজক কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি তার। চেয়ার ছোঁড়া ও হুড়োহুড়িতে আহত হন সংবাদকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন।
বিক্ষুব্ধ জনতার জুতা-চেয়ার নিক্ষেপ আর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের মধ্যদিয়ে পণ্ড হয়ে যায় অনুষ্ঠানটি।
গত শুক্রবার রাতে ঢাকায় মিরপুর স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের শিরোপা জেতে টিম ফরচুন বরিশাল। আজ দুপুরে আকাশপথে দলের সদস্যদের নিয়ে বিমানবন্দরে এসে পৌছায় চলতি বছরের শিরোপা ট্রফি।
এদিকে বেলস পার্কে তখন চলছিল জয়োৎসবের প্রস্তুতি। সেখানে হাজার হাজার জনতা ছিল ট্রফিসহ খেলোয়াড়দের দেখার অপেক্ষায়।
এদিন বিকেল পৌনে ৪টা নাগাদ ট্রফিসহ ফরচুন বরিশাল টিম এবং টিমের মালিক মিজানুর রহমান এসে পৌঁছান মঞ্চে। এ সময় দুর্বল নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে মঞ্চের কাছে চলে যায় হাজার হাজার জনতা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ট্রফি নিয়ে দ্রুত মঞ্চ ছেড়ে নিরাপদ অবস্থানে চলে যান দলের খেলোয়াড়সহ কর্মকর্তারা।
আয়োজনে উপস্থিত দর্শক মেহেদি শুভ জানান, মঞ্চ থেকে বার বার দর্শকদের শান্ত থাকার কথা বললেও কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় পিছন থেকে চেয়ার ছুড়তে থাকে অনেকেই। ফলে আমিসহ আমরা পাঁচ বন্ধু আহত হই।
অনুষ্ঠান উপভোগ করতে আসা তন্নী নামের কলেজ ছাত্রী জানান, তারা কয়েক বান্ধবী বেলসপার্কের একপাশ থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন হঠাৎ তাদের গায়ের উপরে চেয়ার পরে অনেকেই আহত হয়েছেন। প্রশাসনের কোনো নিরাপত্তা না থাকায় তারা ক্ষোভ জানান।
গণমাধ্যমকর্মী সাফিন আহমেদ রাতুল জানান, চেয়ার ছুড়তে ছুড়তে দর্শকরা মঞ্চের সামনে ছুটে আসে এসময় তিনি সহ একাধিক মিডিয়া কর্মী আহত হন। মঞ্চে ফরচুন কোম্পানির কর্মীরা নারী দর্শককে টেনে হিঁচড়ে নিরাপদে সরিয়ে নিলেও অনেকেই আহত হয়।
এদিকে ২টায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা বলে প্রায় সাড়ে ৪টার দিকে মঞ্চে খেলোয়াড়সহ অন্যান্যরা আসলে হট্টগোল বাধায় সেখানকার সকল অনুষ্ঠান পণ্ড হয়েছে। ফলে ট্রফি দেখা পরবর্তী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা আর সম্ভব হয়নি।