ফরিদপুরে রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেন ও মাইক্রোবাসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হকে বাকি দুইজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার গেরদা রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা নারায়নগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় আহতদের একজন স্থানীয় বাসিন্দা ছিলেন। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি তাকে নিয়েই ছিটকে পড়ে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তারা দুুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর পান। এরপর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজে যোগ দেয়। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হলেও তারা সেখানে মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, মাইক্রোবাসটি ফরিদপুর শহরের দিকে যাচ্ছিল। আর ট্রেনটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ক্রসিংয়ে কোনো লাইনম্যান না থাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি দুমড়েমুচড়ে সড়কের পাশের খাদে গিয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার শিকার মাইক্রোবাসটিতে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। মোবাইলের সূত্রধরে জানা গেছে, মোবাইল ব্যবহারকারীর বাড়ি নারায়ণগঞ্জে। তাই উদ্ধারকারীদের ধারণা, নিহতরা নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা হতে পারেন। তবে তাদের পরিচয় শনাক্তে কাজ চলছে।
ফরিদপুর রেলের স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তাকদির হোসেন বলেন, গেরদায় রেলবিভাগের অনুমোদিত কোনো রেলক্রসিং নেই। তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে আমি শুনেছি এবং খোঁজ নিয়েছি। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।