বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের মামলায় তার বান্ধবী ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৮ জানুয়ারি) জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত-৭ এর বিচারক তাহসিন ইফতেখার এ আদেশ দেন। এর আগে ৫ জানুয়ারি জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
বুশরা এই মামলায় প্রায় দুই মাস ধরে কারাগারে বন্দী রয়েছেন। যদিও তদন্ত সংস্থাগুলো ফারদিনের মৃত্যুর সঙ্গে তার যুক্ত থাকার প্রমাণ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ বলেন, ফারদিনের মৃত্যুর সঙ্গে বুশরার কোনো সম্পর্ক নেই বলে আদালতে প্রতিবেদন দেবেন তারা।
ফারদিনের লাশ উদ্ধারের পরপরই ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর বুশরাকে ঢাকার বনশ্রীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৬ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দীর্ঘ ৩৮ দিনের তদন্ত শেষে ১৪ ডিসেম্বর ডিবি প্রধান বলেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে ফারদিনকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় একা ঘুরতে দেখা গেছে। ফারদিন খুন হননি, বরং হতাশার কারণে গত ৪ নভেম্বর সুলতানা কামাল সেতু থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ফারদিন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র এবং নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর ৭ নভেম্বর ফারদিনের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি কটন মিলের পেছনে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত করা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, ফারদিনের মাথায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই দিনই ফারদিনের বাবা কাজী নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে রামপুরা থানায় ছেলে হত্যার ঘটনায় মামলা করেন এবং পরে মামলাটি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।