গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সারজিস আলমের অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেছেন দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর।
রোববার (৫ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে এই কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নইলে জনগণ তার বিচার নিশ্চিত করবে, প্রয়োজনে আমি হুকুমের জন্য প্রথম আসামি হতে রাজি আছি।
নুরুল হক নুর বলেন, হামলার ঘটনা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। আয়োজকদের কথা ছিল যে হামলাটি ছাত্রদল করেছিল, কিন্তু পরে দেখা গেল হামলা করেছে আন্দোলনের আহতরা নাকি হামলা করেছে। এ সমস্ত ভুইফোঁড় নতুন সংগঠন বিপ্লবের নামে নতুন নতুন সংগঠন করছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর কিছু মানুষ বিপ্লবের দোকানদারে পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগের কিছু স্পাই এই আন্দোলনে ঢুকে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, হামলাকারীদের নিউজ কাভার করার জন্য সারজিস আলম সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছে। এ বিষয়ে তাকে জবাব দিতে হবে। গতকাল থেকে তার সম্পৃক্ততার কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। সারজিসকে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে।
নুর বলেন, সরকারের কোনো দায় নেই, তবে সারজিসের সাথে হামলাকারীদের ছবি আছে। যদিও সারজিস ও ফারুকের বাড়ি উত্তরবঙ্গে, আশা করি, সারজিস এই ঘটনায় জড়িত না। হামলাকারীরা হাসপাতালে ক্যান্টিনের ব্যবসাও করছে।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের আমলের মতো একই কায়দায় যদি হামলা অব্যাহত থাকে— তাহলে কিসের পরিবর্তন ও সংস্কার। শাহবাগ থানার ওসি কোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি হলেন না। আমরা এ ধরনের পুলিশ চাই না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কোনো পদক্ষেপ দেখি না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফারুকের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।
সমাবেশ শেষে গণ অধিকার পরিষদের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ থানার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।