ফেনী প্রতিনিধি: ঈদুল আজহার ছুটি শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন ফেনীতে ঈদ করতে আসা মানুষজন। তবে এবারের ঈদে ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি মানুষ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে নিজ জেলায় এসেছিলেন।
ফলে ছুটি শেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ একযোগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কর্মস্থলমুখী হওয়ায় রেল এবং বাস কাউন্টারগুলোতে টিকেটের সংকট দেখা দেয়।
ফেনী রেলওয়ে স্টেশন, মহিপাল ও এসএসকে রোড এলাকার বিভিন্ন বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাস ও ট্রেনের টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইন। অনেকেই টিকিট না পেয়ে হতাশ। কেউ কেউ আবার অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে হলেও গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক যাত্রী বলেন, সকাল থেকে লাইনে আছি, এখনও নিশ্চিত না, টিকিট পাব কি না। ট্রেনে উঠতে না পারলে হয়তো ঢাকায় ফিরতে আরও একদিন দেরি হয়ে যাবে।
একই অবস্থা মহিপালের বাস কাউন্টারগুলোতেও। যাত্রীরা কাউন্টার কর্মীদের ঘিরে রেখেছেন টিকিট নিশ্চিত করতে।
ফেনীর স্টার লাইন স্পেশাল পরিবহনের চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন জানান, এবারের ঈদে ছুটি বেশি হওয়া এবং স্কুল, কলেজ, সরকারী বেসরকারী অফিসগুলো একই সময়ে ছুটি শেষ হওয়া জেলায় যাত্রীর চাপ অনেক বেশি। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে স্টার লাইন সহ অন্যন্য পরিবহন গুলো হিমসিম খাচ্ছে। আমরা প্রতিদিন অতিরিক্ত কিছু বাস চালানোর চেষ্টা করছি, তবে চাহিদার তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। আমরা ধারাবাহিকভাবে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।
ঢাকায় ফিরতে যাওয়া এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ঈদের সময় মানুষ গ্রামে আসে শান্তির খোঁজে, কিন্তু ফিরতে গিয়ে পড়ে চরম ভোগান্তিতে। একটা ট্রেন বা বাসে ধারণক্ষমতার অনেক বেশি মানুষ উঠতে চাইছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ছুটি শেষে নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতে যাত্রাপথ পরিকল্পনায় আরও সমন্বয় দরকার। পাশাপাশি স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে পরিবহন ব্যবস্থাপনায় বাড়তি নজরদারি ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
জুবায়ের আল মুজাহিদ