শরীয়তপুরে ঘাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জড়িয়েছে বিএনপির দুটি পক্ষ। জেলার ভেদরগঞ্জে-নরসিংহপুর ঘাটের ইজারা নিয়ে চলমান দ্বন্দ্বের জেরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকেই পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে দেড় শতাধিক যানবাহন। চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল শরীয়তপুর জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোমিন দিদার এবং সখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইদুল জিসান বালার মধ্যে। শুক্রবার সকালে একটি পক্ষ ঘাটে ইজারার টাকা উত্তোলন করতে গেলে অপর পক্ষ বাধা দেয়। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঘাট এলাকায় নৌ চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা মাইদুল ইউসুফ জিসান বালা বলেন, সরকার এক বছরের জন্য আমাকে ঘাট ইজারা দিয়েছে। কিন্তু সাবেক ইজারাদার মোমিন দিদার ইজারার জন্য আপিল করেছেন। তিনি নাকি উচ্চ আদালত থেকে ইজারার পক্ষে রায় পেয়েছেন। তবে আদালত থেকে আমি কোনো কাগজ হাতে পাইনি। যেহেতু এক বছর পূর্ণ হয়নি, সেহেতু এখনও আমিই ইজারাদার। আর যদি রায় পেয়েও থাকে তাহলে বিআইডিব্লিউটিসি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে, মোমিন দিদারতো নিতে পারে না। তিনি এখন গাড়ি বন্ধ করে তার লোকজন নিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। এই বিষয় নিয়েই ঝামেলা চলছে।
যুবদল নেতা মোমিন দিদার বলেন, উচ্চ আদালত থেকে আমি গতকাল বৃহস্পতিবার ইজারাদার হিসেবে রায় পেয়েছি। পরে আমার লোকজন ফেরিঘাটে কাজ করছে। কিন্ত জিসান বালা বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করছেন। এই রুটের গাড়িগুলো উল্টো পথে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন বলেন, ইজারা উত্তোলন নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ দীর্ঘদিনের। আজ সকালে সেই বিরোধ আবারও সংঘর্ষের পর্যায়ে পৌঁছায়। এ অবস্থায় নিরাপত্তার স্বার্থে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হয়েছে। ফলে ঘাটে আটকে পড়েছে দেড় শতাধিক গাড়ি।
তিনি আরও জানান, ইজারার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল সম্ভব নয়।
ফেরিঘাটে আটকে থাকা চালক ও যাত্রীরা জানান, দীর্ঘক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য না পাওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন কবে নাগাদ ফেরী চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে।