নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালিয়ে আসা নারী-শিশুসহ সাত রোহিঙ্গা সদস্যকে সুবর্ণচর উপজেলায় আটক করেছেন স্থানীয় লোকজন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার ৮ নম্বর মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এছহাক মুন্সিরহাট থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
রোহিঙ্গা সদস্যদের আটকের খবর পেয়ে রাতেই চরজব্বর থানার পুলিশ তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৪ নম্বর ক্লাস্টারের মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন (১৯), একই ক্লাস্টারের পারভিন আক্তার (২৮), মর্জিনা আক্তার (১৮), আয়াস উদ্দিন (১০), মর্জিনা খাতুন (৮), বেছানা পরভেজ (৬) ও নুর বেগম (৩৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের এছহাক মুন্সিরহাটে নারী-শিশুসহ একদল অপরিচিত লোক ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন এবং ভাসানচর থেকে দালালের মাধ্যমে পালিয়ে এসেছেন বলে জানান। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন চরজব্বর থানায় জানান। খবর পেয়ে রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ গণমাধ্যমকে বলেন, আটক রোহিঙ্গারা বর্তমানে চরজব্বর থানায় আছেন। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁদের বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৪ জুলাই হাতিয়ার ভাসানচরের আশ্রয় শিবির থেকে পালানো পাঁচ রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠায় পুলিশ।