26 C
Dhaka
Thursday, November 14, 2024

ফেসবুকজুড়ে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ, উপদেষ্টা নাহিদের পাশে সমর্থকেরা

- Advertisement -

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে চলছে প্রচারণা। মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন তার সহযোদ্ধা ও সমর্থকরা। ‘উই আর নাহিদ’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে নাহিদকে সমর্থন করছেন তারা। 

সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (এনআইবি) মহাপরিচালক পদের নিয়োগপত্রে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সুপারিশসহ সই করা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নাহিদ ইসলাম এ বিষয়টিকে অসত্য এবং বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন।

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ১৫ অক্টোবরের নিয়োগ ২২ অক্টোবরই বাতিল করা হয়েছিল। সুপারিশকৃত গোপন নথির ছবি যারা পেয়ে যায় তাদের কাছে বাতিলকৃত প্রকাশ্য নোটিশটি অজানা থাকার কথা না। তারপরও যেকোনো মূল্যে অসত্য প্রচার করে বিতর্কিত করাটা এই সময়ের রাজনীতি।

পোস্টে তিনি আরও লিখেন, মূলত আওয়ামী বিরোধী ও আন্দোলনের পক্ষের একটি গ্রুপ এই ব্যক্তির সুপারিশ করেছিল। পরবর্তীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা উনার একাডেমিক এক্সেলেন্সি দেখে এনআইবি পদে নিয়োগ দেন। কিন্তু ওই ব্যক্তির রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড জানার পরে সঙ্গে সঙ্গেই উনার নিয়োগ বাতিল করা হয়। গত মাসের ঘটনা। বাতিল করার ঘোষণাটিও সকলে অবগত আছেন।

এদিকে গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তরের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘সব শালারা বাটপার, আর্মি হবে ঠিকাদার’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন।

এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ের সামনে ছিলেন উপদেষ্টা নাহিদ।

তবে শিক্ষার্থীরা জানান, এই স্লোগান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকেই দিয়ে আসছিলেন। মূলত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে এই স্লোগান দেওয়া হয়েছে। নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে নয়।

নাহিদ ইসলামের নামে এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে তার সহযোদ্ধা ও সমর্থকরা।

লাল ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর #WeAreNahid লিখে নাহিদ ইসলামের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীসহ নেটিজেনরা।

হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিম আলম, রিফাত রশিদ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আবদুল কাদেরসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন।

নাহিদ ইসলামকে নির্যাতনের পুরাতন ছবি শেয়ার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের অবস্থা এমনই। যারা হাসিনা পুনর্বাসন প্রকল্পকে সমর্থন করে তারা দেশকে সেই একই পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনবে: রক্তপাত, জোরপূর্বক গুম, হত্যা এবং আরও অনেক কিছু। হাসিনা শাসনের পুনর্বাসনকে সমর্থন করলে শেষ পর্যন্ত একই বিধ্বংসী পরিণতি ঘটবে। ফ্যাসিস্ট বিরোধী বাংলাদেশ হচ্ছে নাহিদ।

সারজিস আলম লিখেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ওদের পূর্ববর্তী করাপ্টেড সিস্টেম নিয়ে ছিল সেটা বুঝেছি ৷ সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে সেটা নিয়েও সমস্যা নেই ৷ ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার অমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি ৷ যখনই সংকট এসেছে আমার এই সহযোদ্ধারাই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছে ৷ কিন্তু এজেন্ট হিসেবে ভিতরে ঢুকে এদের কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রচেষ্টা যদি করা হয় তবে সেটা কখনো সফল হবেনা ৷ এই বন্ধন এমনি এমনি তৈরী হয়নি ৷ হাতে হাত রেখে রাজপথে ঘাম ঝড়িয়ে, রক্ত ঝড়িয়ে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে একসাথে লড়াই করে এই বন্ধন তৈরী হয়েছে ৷ সাবধান!

নাহিদের প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক কায়েমও। এ নিয়ে তিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

স্ট্যাটাসে সাদিক কায়েম লিখেছেন, আমরা জুলাইয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছিলাম। নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ যেহেতু ফ্রন্টলাইনে ছিলো ফ্যাসিস্টের প্রথম টার্গেটও তারাই এবং এখনো আছে। তাদের নিবেদিত লড়াই-নিশ্চিত কাঠগড়া কিংবা মৃত্যু জেনেও আপোষহীন রাজপথ আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত করেছে। নাহিদ শুধু রাজপথের সহযোদ্ধাই নয়, বন্ধুও বটে। ক্যাম্পাসে আমরা দীর্ঘ সময় যাবৎ পাশাপাশি থেকে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন করে আসছি।

তিনি বলেন, মানুষ সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয় না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র নেতৃত্ব এমন কোনো সিদ্ধন্ত নেয়নি যেটার জন্য হেনস্তার শিকার হতে হবে। আমরা চাই-রাষ্ট্রের ইতিবাচক সংস্কার ও নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা।

‘ছাত্র নেতৃত্ব আস্থা হারানোর মতো কোনো সিদ্ধান্তও নেয়নি। মনঃপূত সিদ্ধান্ত না নিলে আমরা গঠনমূলক সংশোধনী দিব আর তারা গ্রহণ করার মানসিকতাও দেখায়, দেখাচ্ছে, দেখাবে’, স্ট্যাটাসে জানান সাদিক কায়েম৷

- Advertisement -
ফেস দ্যা পিপল লাইভ টক শো উইথ সাইফুর সাগর
Video thumbnail
গন্তব্যহীন পথে হাঁটছে বাংলাদেশ? লাইভ টকশোতে আফসোস করে যা বললেন এডঃ ফজলুর রহমান
13:31
Video thumbnail
আবারও গন্তব্যহীন পথে বাংলাদেশ? সরকার ব্যর্থ হলে ঘটতে পারে যে মহাবিপদ!
01:20:36
Video thumbnail
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ ও তার স্ত্রীর হাজার কোটি টাকার তথ্য ফাঁ’স করলেন তার ছোট ভাই মৃদুল!
04:56
Video thumbnail
উপদেষ্টা নিয়োগ বর্তমানে একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে: দর্শক মতামত
11:55
Video thumbnail
অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক সরকারের মত আচরণের নেপথ্যে কী? জানালেন ড. মারুফ মল্লিক
16:12
Video thumbnail
গত তিনমাসের কর্মকাণ্ড নিয়ে উপদেষ্টাদের যেসব বিষয়ে জবাবদিহি করা উচিত: জহিরুল ইসলাম জহির
08:31
Video thumbnail
সরকার বসে বসে প্রত্যেকদিন তা'মা'শা করছে, যা করছে সবই না'টক: ড. স্নিগ্ধা রিজওয়ানা
11:21
Video thumbnail
ফারুকী স্ট্যাটাস দিয়ে উপদেষ্টা, জনগণের জানার অধিকার নাই? তবে কি আগেই ভালো ছিলো! ড. স্নিগ্ধা রেজোয়ানা
11:31
Video thumbnail
ফারুকী একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, সরকার ছাত্র ও রাজনৈতিক দলের সমর্থন হারিয়ে ফেলছে কি? জহিরুল ইসলাম
08:59
Video thumbnail
উপদেষ্টা নিয়ে তুলকালাম। দ্বিধাদ্বন্দে রাজনৈতিক দলগুলো। কোনদিকে বাংলাদেশ?
01:20:14

সর্বশেষ

আমাদের সাথে সংযুক্ত হোন

1,600,000FansLike
428FollowersFollow
1,270,000SubscribersSubscribe