মো.সজল মিয়া, প্রতিনিধি: ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, আমরা বর্তমান সরকারকে স্পষ্টভাষায় বলতে চাই, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশকে আজকে যে বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, এদেশের জনগণ, বাংলাদেশের সংবিধান, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি সমর্থন করে না।
শুক্রবার গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি পল্টনে দুর্নীতি-দুঃশাসন বিরোধী গণসমাবেশে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, অনেকে বলেছে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলির সাথে তকদির করার জন্য চেষ্টা করেছেন। তার কোনো রাষ্ট্রীয় সফর ছিল না তারপরও তিনি জাপান গিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছে যুক্তরাজ্য গিয়েছে। এই সফরের ফলাফল ছিল ঘোড়ার ডিম। আমরা বলতে চাই জনগণের পয়সা খরচ করে ঘোড়ার ডিম মার্কা বিদেশি শপথ এখন করতে দেয়া যাবে না। যদি জনগণের টাকা খরচ করে ছাত্রলীগ, যুবলীগ মহিলালীগের নিয়ে এরপর থেকে করা হয় তাহলে আমরা বিমানবন্দর ঘেরাও করব।
একদিকে ওবায়দুল কাদের, আওয়ামীলীগ নেতারা টেলিভিশনে বলেছেন বিদেশিদের এর পিছনে নাকি বিরোধী দল ঘোর ঘোর করছে। বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে বেড়াচ্ছে, অথচ বিদেশিদের কাছে এরা ক্ষমতায় থাকতে ভিখারির মতো ঘুরছে। বাংলাদেশকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলা, বাংলাদেশের বাকশাল কায়েম করা, ফ্যাসিবাদ কায়েম করা, আওয়ামী লীগের দুঃস্বপ্ন আমরা বেঁচে থাকতে সফল হতে দেবো না ।
আজকে দেশটা একটা দুর্বৃত্ত দুঃশ চক্রের দখলে, এই দুর্বৃত্তরা, দুষ্টচক্ররা শেয়ারবাজার খেয়েছে, ব্যাংক খেয়েছে, শিক্ষাখাত খেয়েছে। বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রয়োজন ১৪ হাজার থেকে সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ক্ষমতা ২৫ হাজারের উপরে। তারপরও কেন এত লোডশেডিং?
প্রতিবছর এক লক্ষ থেকে দের লক্ষ কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। এ টাকা কে পাচার করছে? গণঅধিকার? বিএনপি? জামাত? কোন বিরোধীদল পাচার করছে না। অর্থ পাচার করছে সরকারি দলের আওয়ামী লীগের নেতারা, আমলারা, সরকারি দলের বেনিফিশিয়াল গ্রুপ। টিকিয়ে রাখার জন্য তারা আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে, যারা নানাভাবে বিরোধীদলকে সাহায্য সহযোগিতা করে তাদেরকে হয়রানি করার জন্য লিস্ট করা হচ্ছে।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন রাবের যে ৮ জন শ্যাংসন খেয়েছে, তারা কি তাদের বাড়ি জমি দখল খেয়েছেন? তারা কি তাদের বাবা-মা বউ-বাচ্চাদের রক্ষা করতে গিয়ে শ্যাংসন খেয়েছেন? দেশের জন্য শ্যাংশন খেয়েছেন? শেখ হাসিনার অবৈধ শাসন কায়েম করার জন্য জনগণের বুকে গুলি চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীকে হত্যা করে বিভিন্ন অপকর্ম করার জন্য শ্যাংসন খেয়েছেন।
পল্টনে গণঅধিকার এর সমাবেশ চলছে, শ্যামলীতে বিএনপির, ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের সমাবেশ চলছে। এভাবে যদি বিরোধী দলের একমাস হবে চলতে থাকে এই সরকারের পতন হয়ে যাবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী মিটিং মিছিল যেখানেই হবে ওই জায়গায় মনে করবেন আপনার সমাবেশ। সেই মিছিলকে সাকসেস করার জন্য সেই সমাবেশ থেকে ফ্যাসিবাদীর গতিকে দাফন করার জন্য আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে সেই মিছিলে উপস্থিত হবেন।
আমার বিশ্বাস আমরা যদি সাহস নিয়ে জনগণের কাছে যেতে পারি জনগণ সাহস নিয়ে আমাদের মিছিলে শামিল হয় সেই মিছিল হবে সরকার পতনের মিছিল, সেই সমাবেশ হবে সরকার পতনের সমাবেশ।