প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার উন্নয়নের মাইলফলক।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকালে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন দুদেশের উন্নয়ন ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক অর্জন। এটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তাবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ত্বরাণ্বিত করবে এবং আমরা যে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি আমি চাই ভারতের বিনিয়োগকারীরাও এখানে এসে আরও বিনিয়োগ করুন। আমরা দুইদেশই তাতে লাভবান হবো।
বাংলাদেশ ২০১২ সালের ৬ ডিসেম্বর পাইপলাইনে তেল আমদানি করতে ভারতের কাছ থেকে প্রস্তাব পায়। বর্তমানে ক্রুড ও পরিশোধিত তেল সামুদ্রিক জাহাজ, নৌজাহাজ, ওয়াগন ট্রেন এবং ট্যাংক লরিতে পরিবহন করা হচ্ছে।
দীর্ঘকাল ধরে এ চার উপায়ে বিদেশ থেকে আমদানি থেকে শুরু করে প্রান্তিক পর্যায় পর্যন্ত তেল সরবরাহ করা হচ্ছে। কিন্তু এতে সিস্টেম ও খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে থাকার যুক্তি এনে তেল পরিবহনে পাইপলাইন ব্যবহারের পরিকল্পনা করে সরকার।
২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বরে এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন’ নির্মাণে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এটি চালু করার লক্ষ্য থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।