বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থবিরোধী কোনও চুক্তি করেন না বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ সমুন্নত রেখেই চুক্তি করেন। তার ভারত সফরের সব চুক্তিই দেশের জনগণ ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রেখেই করা হয়েছে। গঙ্গা চুক্তি ও কুশিয়ারা চুক্তি তিনিই করেছেন। আর তিস্তা চুক্তিও শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ করতে পারবে না।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে শরীয়তপুরের জাজিরার পালেরচর ইউনিয়নে বন্যা ও নদী ভাঙনকবলিত মানুষের মাঝে ত্রাণ এবং সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এনামুল হক শামীম বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জনগণের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কোনও কাজ করেন না শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর পরে জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো দেশপ্রেমিক আর কেউ নেই। এদেশের মানুষ একমাত্র তাকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখে। কারণ তিনিই মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেন।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৮০টি পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল ও দুই হাজার করে টাকা দেন উপমন্ত্রী। পাশাপাশি ২৫টি পরিবারকে দুই বান্ডিল করে টিন ও ছয় হাজার করে টাকা দেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে যা বলেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, তা বিএনপি ও খালেদা জিয়ার বেলায় প্রযোজ্য। কারণ খালেদা জিয়া ভারত সফর থেকে আসার পর প্রশ্ন করা হয়েছিল, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে কি কথা হয়েছে? তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন, “ওহ আমি তো ওটা ভুলেই গিয়েছিলাম”।
উপমন্ত্রী বলেন, যাদের নেত্রী ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলতে ভুলে যান, তারাই সবসময় ভারতকে সব দিয়েছে, কিছু আদায় করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে হওয়া সাতটি সমঝোতা চুক্তির মধ্যে অন্যতম কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি।
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী, কুশিয়ারা নদী থেকে রহিমপুর খাল দিয়ে ১৫৩ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ উপজেলায় শুকনো মৌসুমে চাষাবাদে আসবে ব্যাপক পরিবর্তন। একইসঙ্গে উপকৃত হবেন কানাইঘাট ও বিয়ানীবাজার উপজেলার লক্ষাধিক কৃষক।এছাড়া এই খালের ভাটিতে থাকা হাওরাঞ্চলে বোরো চাষাবাদ সম্ভব হবে।
এ অনুষ্ঠানে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন–জাজিরা উপজেলা চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফরিদপুর অঞ্চলের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহিদুল আলম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম আহসান হাবীব
প্রমুখ।