চার ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখনো নিয়ন্ত্রণে আসে নি বঙ্গবাজার মার্কেটে লাগা আগুন। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ৫০ টি ইউনিট, সেনা নৌ বিমান বাহিনীর ফায়ার ইউনিটের চেষ্টায়ও আগুন নেবানো সম্ভব হচ্ছে না। সময় যত গড়াচ্ছে আগুনের তীব্রতা তত বাড়ছে।
ভয়াবহ এই আগুন আশপাশের মার্কেটগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। এখনো পর্যন্ত বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের আওতাধীন মার্কেট ছাড়াও আশপাশের দু’টি মার্কেটে এই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের আওতাধীন মহানগর মার্কেট, আদর্শ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট, বঙ্গবাজার মার্কেট ছাড়াও পাশ্ববর্তী ইসলামিয়া মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে এনেক্সকো টাওয়ারে ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের দোকান-মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক বিএম হাবিব এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আমরা সন্দেহ করছি এটি কোনো দুর্ঘটনা নয়। স্বার্থনেষী মহল দীর্ঘদিন ধরে এটি দখলের চেষ্টা করছে। আমরা সন্দেহ করছি যে তারা ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের জন্য আগুন লাগিয়েছে।’
এদিকে মহানগর মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, পাইপে পানি নেই। ফায়ার সার্ভিস ভেতরে না ঢুকে বাইর থেকে পানি দিচ্ছে। এটা টিনের মার্কেট হওয়ায় খুব দ্রুত পুড়ে যাবে।
এর আগে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। এর পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা নৌ বিমান বাহিনীর ফায়ার সার্ভিস ইউনিট একসঙ্গে কাজ করছে। ঢাকার সবগুলো ফায়ার সার্ভিস ইউনিটকে ঘটনাস্থলে ডাকা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।
সুষ্ঠুভাবে এই কাজ পরিচালনার জন্য হানিফ ফ্লাইওভারসহ আশপাশের সব রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শাহবাগ থানা পুলিশ জানিয়েছে, আগুনের ভয়াবহতার কারণে বঙ্গবাজার মার্কেটের আশপাশের এলাকার যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট চত্বর থেকে বঙ্গবাজার হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত সড়কটি বন্ধ রয়েছে। গুলিস্তান থেকে নর্থসাউথ রোডে আসার সড়কটিতেও যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাশ দিয়ে হানিফ ফ্লাইওভার ওঠানামার জন্য ফ্লাইওভারটিতে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।