চার দিন যেতে না যেতেই আবারও বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে সাগর, বন্দর চ্যানেল ও নদী উত্তাল রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে মোংলা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকায় গরমের তাপদাহ কমছে না। সাগর ও সুন্দরবন উপকূলের প্রচণ্ড বাতাস ও দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। এমন আবহাওয়ার মধ্যে সাগরে মাছ শিকারে নামতে পারছে না জেলেরা।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার জানান, শুক্রবার রাত থেকে দুবলার চরে ঝড় হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রচুর বৃষ্টিপাতও রয়েছে। শনিবার ভোর থেকে ঝড়-বৃষ্টি বাড়ছে। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা দুবলার চরে আশ্রয় নিয়েছেন। চরের ভেদাখালী খালে ৫৪টি ট্রলার নিরাপদে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে, বৈরী আবহাওয়ায় সকাল থেকে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য ওঠানামা ও পরিবহনের কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। তাছাড়া নিম্নচাপের প্রভাবে খুলনায় থেমে থেমে বৃষ্টিপাত, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও ঝড়ো হওয়া বিদ্যমান রয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন যাবত প্রচণ্ড তাপদাহে মোংলা বন্দরসহ উপকূলীয় এলাকার জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত ১৩ আগস্ট সাগরে নিম্নচাপ কমে গেলে এরপর তিন দিন প্রখর রোদে কাজ করতে বিপাকে পড়তে হয়েছে দিন মজুরদের। এখন আবার বৈরী অবহাওয়ায়ও দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের দৈনন্দিন কাজকর্মে।
বৈরী আবহাওয়া আর টানা বৃষ্টিতে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে মোংলা সমুদ্র বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া দুর্যোগপূর্ণ ও বৈরী আবহাওয়া শনিবার পার্যন্ত বিরাজ করছে। মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূল জুড়ে একাটানা ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
মোংলা বন্দর বার্থ শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ জাহিদ হোসেন বলেন, বৃষ্টিপাত হলে জাহাজের পণ্যের সুরক্ষায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। জাহাজের ওপরের ঢাকনা খোলা থাকলে বৃষ্টিতে মালামালের ক্ষয়ক্ষতিসহ জাহাজের অভ্যন্তরে পানি জমে। তাই বৃষ্টির সময় কাজ বন্ধ থাকছে, কমলে আবার শুরু হচ্ছে, এভাবেই কাজ চলছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ওয়াদুদ তরফদার বলেন, আমরা আবহাওয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, বন্দরের কাজ কর্মও চলছে। আবহাওয়ার গতিবিধি বুঝে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।