শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার গারো পাহাড় ও বিভিন্ন লোকেশনে চলছিল চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও অভিনেতা আব্দুন নূর সজলের নতুন সিনেমা ‘শাপলা শালুক’ এর শুটিং। কিন্তু সম্প্রতি শুটিংয়ের সময় সেখানে বন্যহাতির আগমন ঘটে। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বুবলী-সজলসহ সিনেমার কলাকুশলীরা।
এই ঘটনার পরেই সিনেমার তারকা-কলাকুশলীদের সুরক্ষা নিয়ে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে অনেকেই সরব হয়েছিলে বন্য প্রাণীদের অভয়ারণ্যে মানুষের অযথা উপস্থিতি কিংবা সিনেমার শুটিং নিয়ে।
নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান অবশ্য দ্বিতীয় দলে। প্রাণী সুরক্ষা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে খানিকটা ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সামাজিক মাধ্যমে। একইসাথে সজল-বুবলীর এই সিনেমার শুটিং বন্ধে বন বিভাগের প্রতি আহ্বানও জানান জয়া।

গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে জয়া আহসান লেখেন, ‘এই আরেক উপদ্রব বনের ভিতর। বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মন চাইলেই লাইট ক্যামেরা একশন শুরু করা যায়? মাইকের শব্দ, শুটিং টিমের বর্জ্য, গান-বাজনা এগুলো কি এলাউ করা ঠিক হবে এরকম একটা সেন্সিটিভ জায়গায়?’
জয়ার এই প্রতিক্রিয়া ভালোভাবে নেননি ‘শাপলা শালুক’ সিনেমার নির্মাতা ও একসময়ের অভিনেত্রী রাশেদা আক্তার লাজুক। জয়ার কথার পাল্টা জবাব দিয়ে লাজুক জানান, জয়ার এমন মন্তব্য আশা করেননি তিনি, এমনকি তার এই পোস্টটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে লাজুক বলেছেন, ‘জয়া আহসান ফোন করে আমাদের একটা খবর নিতে পারতেন, কেননা শুটিংয়ে হাতির আক্রমণ হয়েছে। এখানে বুবলী আছেন, আব্দুন নূর সজল আছেন। সজলের সঙ্গে তার অনেক কাজ হয়েছে। ওই জায়গা থেকেও খোঁজ নিতে পারতেন আমরা ঠিক আছি কি না। তা না করে উল্টো আমাদের শুটিং বন্ধের আহ্বান জানালেন! ওনার কাছে এরকম আচরণ আশা করিনি, এটা দুঃখজনক।’