বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য সরকার জনপ্রতি দেড় টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের উৎসবের নামে শত শত কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে।
রবিবার(১৯ জুন) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন–বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, সাইফুল আলম নিরব প্রমুখ।
রিজভী বলেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, উত্তরাঞ্চলসহ দেশে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পানিবন্দি প্রায় কোটি মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারি বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। বন্যার্তদের জন্য সরকার ১০০ টন চাল, ৩০ লাখ টাকা আর পাঁচ হাজার টাকার শুকনা খাবার দিয়েছে। এ পর্যন্ত তারা বরাদ্দের আশ্বাস দিয়েছে ৬০ লাখ টাকা। তার মানে জনপ্রতি দেড় টাকা।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জনসভাস্থলে অস্থায়ী ৫০০ টয়লেট স্থাপন করতে যে খরচ হবে তার ১০ ভাগের ১ ভাগও বরাদ্দ পায়নি বন্যার্তরা।
এ সময় পদ্মাসেতু নিয়ে সরকারের উদ্বোধন আয়োজনের সমালোচনা করে তিনি বলেন,আমরা দাবি করছি, পদ্মা সেতুর নিয়ে উৎসব বন্ধ করুন, এই লোক-দেখানো ফুটানি বন্ধ করুন। পদ্মাসেতু উদ্বোধনের উৎসবের নামে শত শত কোটি টাকা বরাদ্ধ হচ্ছে। অথচ সিলেট, সুনামগঞ্জ. নেত্রকোনা ও উত্তরাঞ্চলসহ দেশে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় প্রায় কোটি পানিবন্দি মানুষের সাহায্যের জন্য সরকারি বরাবদ্ধ একেবারেই অপ্রতুল।
দেশের দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, জয়বাংলা কনসার্ট নামে কনসার্ট করা হচ্ছে। সেখানে পাশ্ববর্তী দেশ থেকে শিল্পী আনা হয়েছে। আমরা যেটা শুনেছি তিন কোটি টাকা তাকে সন্মানি দেওয়া হয়েছে। সেই কনসার্টে হেলিকপ্টারে করে উড়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশে দরবেশ নামে একজন ব্যক্তি, তিনি গিয়ে সেখানে জ্ঞান-গর্ব বক্তৃতা করছেন। উপদ্রুত মানুষ, ক্ষুধার্ত মানুষকে নিয়ে এমন তামাশা পৃথিবীর ভয়ংকর ভয়ংকর স্বৈরাচারদের কথা মনে করিয়ে দেয়।
বন্যাকবলিতে অঞ্চলে বিএনপির নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্ব স্ব জেলার নেতাদের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যা দুর্গত এলাকার নেতারা বিএনপির পক্ষ থেকে সাহায্য করছেন।