সিলেটসহ সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ১৯ জুন থেকে অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরবর্তী সময়সূচি পরে জানানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে চলতি বছর ঢাকা বোর্ডের আওতায় মোট পরীক্ষার্থী তিন লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৮ জন। এছাড়া রাজশাহীতে এক লাখ ৯৬ হাজার ৬০০ জন, কুমিল্লায় এক লাখ ৮৮ হাজার ৭১৪ জন, যশোরে এক লাখ ৭০ হাজর ৩৭৭ জন, চট্টগ্রামে এক লাখ ৪৯ ৭১০ জন, বরিশালে ৯৫ হাজার ৯৭৬ জন, সিলেটে এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন, দিনাজপুরে এক লাখ ৭৩ হাজার ৯৬১ জন এবং ময়মনসিংহে এক লাখ ১২ হাজার ৯৪৮ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। সব মিলে নয় বোর্ডের অধীনে মোট ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭১১ জন অংশগ্রহণ করবে।
অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নয় হাজার ৯৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। মোট ৭১৫টি কেন্দ্রে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৪৯৫ জন অংশ নেবে। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট দুই হাজার ৮১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। দেশের ৮২৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে মোট এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৬২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
দেশের বাইরে আটটি দেশে এই পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে জেদ্দায় ৭০ জন, রিয়াদে ৪৮ জন, ত্রিপলিতে চারজন, দোহাতে ৬৮ জন, আবুধাবিতে ৫৯ জন, দুবাইয়ে ৩১ জন, বাহরাইনে ৫৩ জন এবং ওমানে ৩৪ জনসহ মোট ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। আজ শুক্রবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এছাড়াও ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।