ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শের-ই বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা নেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) মামলা দুটি হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর মুকুল। দুই মামলার ২৪ আসামির সকলেই ছাত্রলীগের কর্মী। এর মধ্যে পায়ের রগ কেটে দেওয়া ছাত্র আয়াত উল্লাহকেও একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় গত ৫ আগস্টের হামলায় ১২ জন আহত হন। অভিযোগ উঠেছে, নানা নাটকীয়তা এবং সমঝোতার নামে মামলা নিতে দেরি করছিলো পুলিশ।
ওসি মুকুল বলেন, পুলিশ দুটি মামলা নিয়েছে। এর মধ্যে আহত আয়াত বাদী হয়ে একটি মামলায় ২০-২৫ জনকে আসামি করেছেন। অন্য মামলায় আল সামাদ শান্ত নামের এক শিক্ষার্থী ১৫-২০ জনের নামে মামলা করেছেন। একাধিক অভিযোগ পাওয়ায় সবগুলো যাচাই-বাছাই করে দুটি অভিযোগ এজাহার হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশের তথ্যমতে, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আয়াতের করা মামলার আসামিরা হলেন- ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, গণিতের রায়হান ইসলাম ও আল মোবাশ্বের রিদম, হিসাববিজ্ঞানের শরিফুল ইসলাম ও মো. শাওন, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের হাসিবুল ইসলাম শান্ত, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ফাত্তাহুর রাফি, ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের ফারদিন খান, মার্কেটিংয়ের এইচ এম মিলনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ২৫ জন।
অপর দিকে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী শান্তর করা মামলায় আসামি হয়েছেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মুয়ীদুর রহমান বাকি, আইনের অমিত হাসান রক্তিম, সমাজবিজ্ঞানের রাকিব হাসান রনি, রসায়নের সাইমুন ইসলাম, সমাজবিজ্ঞানের আলীম সালেহী,ব্যবস্থাপনার শাহরিয়ার হোসেন, লোকপ্রশাসনের মাহামুদুল হাসান ও ইরফান আহমেদ রাজ, মার্কেটিংয়ের আয়াত ও সালাউদ্দীন, ব্যাবস্থাপনার আসিফ বিল্লাহ, বাংলার সাব্বির হোসেন মো. আরাফাত, পদার্থবিজ্ঞানের মিকাদুল রহমান ফিদা, সিএসই বিভাগের শওকত হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জন।
আহত আয়াত হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং থেকে বহিষ্কারের দাবিতে গত বুধবার দুপুরে আমরণ অনশনে বসেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে তিনি কর্মসূচি স্থগিত করেন।
হামলায় আহত আয়াত বলেন, যেখানে আমার অঙ্গহানি ঘটেছে, সেখানে আমাকেই একটি মামলার আসামি করা হয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসে আমি অনশন প্রত্যাহার করেছি।