বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনের একটি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় তিন মাস ধরে আটকে আছে সমাজকর্ম বিভাগের পরীক্ষা৷
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাকিম রহমান এক ফেসবুক পোস্টে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, “শিক্ষক হিসেবে নাকি ভিসির পদত্যাগ চাওয়া যাবে না, তাই আমি চাইছি না পদত্যাগ। কিন্তু।”
তিনি সমাজকর্ম বিভাগের দুটি গুরুতর সমস্যা তুলে ধরে লিখেন, একটি ব্যাচ সব ক্লাস শেষ করে তিন মাস ধরে শুধুমাত্র ভিসির একটি স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে তিন মাসেও ভিসি স্বাক্ষর দেননি।
অন্যদিকে, আরেক ব্যাচের ফলাফল জমা দিতে দুই সপ্তাহ সময় লেগেছে, একটি মাত্র স্বাক্ষরের জন্য। ভর্তি কার্যক্রম শুরুর জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি পাঠানো হলেও (যেখানে ভিসিই এখন রেজিস্ট্রারের দায়িত্বও পালন করছেন), এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি। আগামী তিন মাসেও যদি স্বাক্ষর না হয়, তাহলে এই ব্যাচটিও পরীক্ষায় বসতে পারবে না, যদিও তাদের সব ক্লাস প্রায় শেষ।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমার শিক্ষার্থীদের অপরাধ কী? এই তিন মাসের একাডেমিক ক্ষতি ভিসি কি পুষিয়ে দিতে পারবেন? ভিসি যদি শিক্ষার্থীদের ক্ষতির দায় নিতে না পারেন, তাহলে তাকে ঢাকায় বসিয়ে রেখে রেখে ধুয়ে পানি খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখছি না।”
তিনি উল্লেখ করেন, অন্যান্য বিভাগেও সমস্যা ভয়াবহ এবং পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার পেছনে এই একজন ব্যক্তিকেই দায়ী করা যায়।
লেখার শেষ অংশে তিনি জানান, “শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবির পক্ষে আছি।”