হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একইসাথে আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর চাঁদমারি এলাকায় প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে আগামী শুক্রবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আশ্বাসে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলাম। পাশাপাশি প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া অন্য যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল তাদেরকেও একই আশ্বাস দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সরকার নিবন্ধিত একটি সুশৃঙ্খল, আদর্শবাহী রাজনৈতিক দল। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছিলাম। নির্বাচন নিয়ে সরকারকে বারবার সতর্ক করার পরও তারা তাদের চরিত্র থেকে ফিরে আসেনি। যার প্রমাণ আমার ভাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর দুই দফায় নির্বাচনচলাকালে হামলা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার ধিক্কার ও নিন্দা জানাই। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিবেন না বলেও জানান মুফতি রেজাউল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার (১২ জুন) বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালীন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্রে সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর তিনি রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ কমিশনার বরাবর অভিযোগ দেন।
অভিযোগে ফয়জুল করীম বলেন, নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ৮৭ নম্বর কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখি নৌকার সমর্থকরা ভোটকক্ষে ঢুকে ভোটারদের বলছেন, নৌকায় ভোট দিলে দাও, না হলে চলে যাও। এসময় আমি প্রিসাইডিং অফিসারকে এসব বিষয় বলছিলাম। তখন নৌকার কর্মীরা এসে আমাকে ও আমার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করে।