বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বিপুল ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও জয়ী প্রার্থীর সাথে ভোটের ব্যবধান অনেক।
১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে সবকটি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৮৭,৭৫২ ভোট পেয়ে প্রথম স্থানে আর ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার প্রার্থী পেয়েছেন ৩৪,৩৪৫ ভোট দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
এ সিটিতে মেয়র পদে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির গোলাপ ফুল প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু, টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: আসাদুজ্জামান ও হরিণ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার।
এছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। এর মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ৮৪ শতাংশ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বরিশালে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
এদিকে হাতপাখার মেয়র প্রার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। একইসাথে আসন্ন সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কট ঘোষণা করেছেন চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম।